Stories Details

Home/Stories Details

Home > Stories

প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার খাল খননে বদলে গেছে চলনবিলের দৃশ্যপট

মৎস্য ও শস্য ভান্ডারখ্যাত নাটোরের সিংড়া উপজেলা। ‘মাছে ভাতে বাঙালি’ প্রবাদটি যেন চলনবিল অধ্যুষিত এই এলাকার মানুষের ক্ষেত্রে শতভাগ সত্য। সেই চলনবিল থেকেও হারিয়ে যেতে বসেছিলো নানা প্রজাতির মাছ। তবে আনন্দের সংবাদ যে, প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার খাল খনন এবং পুনঃখননের  ফলে চলনবিল আজ নানান প্রজাতির মাছের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে এবং খালকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে দেশের বৃহত্তম শুটকি চাতাল। এলাকার মাছের চাহিদা মিটিয়ে এখান থেকেই দেশের ২০টি জেলায় প্রতিদিন সরবরাহ করা হচ্ছে শুটকি মাছ।অন্যদিকে খাল খননের ফলে কৃষিক্ষেত্রেও ঘটেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন, খুব সহজেই কৃষকেরা পাচ্ছেন সেচ সুবিধা।


কিন্তু কীভাবে ঘটলো এই বৈপ্লবিক পরিবর্তন? স্বাধীনতা পরবর্তী যারাই ক্ষমতায় এসেছেন কেউ-ই অবহেলিত সিংড়ার চলনবিলবাসীর দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে কাজ করেননি। আমি প্রথম নির্বাচিত হওয়ার পরেই একাজে উদ্যমী হই। আমার এই উদ্যমের পেছনে কাজ করেছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কোনো জমি অনাবাদি না রাখার ঘোষণা। আর এই কাজ বাস্তবায়নে আমাকে সাহস জুগিয়েছে আমার প্রাণপ্রিয় সিংড়াবাসী। সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং ভালোবাসার ফলেই সিংড়ায় প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার খাল খনন আজ বাস্তবতায় রূপ লাভ করেছে। সেইসাথে পূরণ হয়েছে সিংড়াবাসীর দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত দাবি। একটানা প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার খাল খননের উপকারভোগী আজ সিংড়া উপজেলার ৮০ হাজার কৃষক পরিবার, মৎস্যজীবী পরিবারসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ।

Get an Appointment

I want to learn your thoughts how together we can build ICT driven Economy for a sustainable Bangladesh