Home > Stories
একটা সময় ছিলো যখন পুরো চলনবিল অন্ধকারে ডুবে থাকতো! চলনবিলবাসীর জন্য এটা ছিলো প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতোই একটা মহাদুর্যোগ। কারণ নাটোর সদরের কাছাকাছি হওয়া সত্ত্বেও এখানকার মানুষ ছিলো আধুনিক নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। স্বাধীনতার ৩৭ বছরেও আলোর মুখ দেখেনি চলনবিলের গ্রামগুলো। অন্ধকার গ্রামগুলো সন্ধ্যা পেরোলেই হয়ে উঠতো আতঙ্কের অভয়ারণ্য।
অন্ধকারাচ্ছন্ন সেই চলনবিলের সন্তানদের ভবিষ্যৎও ছিলো অন্ধকার! পড়ালেখার কোনো পরিবেশ ছিলো না। বিদ্যুৎবিহীন গ্রামে প্রসূতি মায়েদের সহ্য করতে হয়েছে নিদারুণ কষ্ট। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসার পথেই অনেকে মৃত্যুবরণ করেছেন, আবার অনেকেরই রাস্তার মধ্যেই ডেলিভারি হতো। এমন অনেক গল্পের সাক্ষী চলনবিলের আকাশ-বাতাস-মাটি।
তবে এই করুণ গল্পেও বাঁক আসে। ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের ঘোষণা দেন। এই ঘোষণায় জাতিকে শতভাগ বিদ্যুৎ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন জননেত্রী। তাঁর এই আহ্বানে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসাবে আমিও যুক্ত হই, আমার প্রাণপ্রিয় সিংড়াবাসীর উন্নয়ন সাধনের লক্ষ্য নিয়ে।
পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তার দয়ায়, বিগত ১৪ বছরে আমার প্রিয় সিংড়াবাসীর আস্থা ও ভালোবাসার মূল্য িদতে আমি সক্ষম হয়েছি। আতঙ্ক এবং অন্ধকারের জনপদ বর্তমানে শতভাগ বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত। আজ সিংড়ার নতুন প্রজন্মের সন্তানরাও স্বপ্ন দেখতে পারছে উচ্চ শিক্ষা ও উন্নত জীবন গড়ার। সিংড়াবাসী তাদের আরেক সন্তান জুনাইদ আহ্মেদ পলকের ওপর ভরসা ও ভালোবাসা বজায় রেখেছে বলেই এই কাজ আমি করতে সক্ষম হয়েছি।
I want to learn your thoughts how together we can build ICT driven Economy for a sustainable Bangladesh